Breaking News

৫০০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে ।।

চলতি বছর বৈশাখের শুরুতে সারা দেশের ন্যায় শুরু হওয়া ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার টোক নদীতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ৫শ’ হেক্টর জমির ধান এখন পানির নিচে। শ্রমিক পাওয়া গেলেও খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী জন প্রতি ৬/৭শ’টাকা হাকাচ্ছে যা কিনা প্রতি মন ধানের চেয়েও মূল্য বেশী। এতে অনেক কৃষক ধান কাটাই বন্ধ করে দিয়েছেন। ভারি বর্ষণে পাহাড়িয়া ঢলে উপজেলা অধিকাংশ নিচু বোরো ধানি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সোনালী ফসল গোলায় তুলতে পারছেন না কৃষকরা। রোদে পোড়ে বৃষ্টিতে ভিজে, মাথার গাম পায়ে ফেলে লগ্নি করা অর্থ দিয়ে যে কৃষক বুক ভরা আশা নিয়ে সোনার ফসল ফলিয়েছিল, সেই ফসল এখন পানির নিচে পচে যাচ্ছে। 
জানা যায়, গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়িয়া ঢলে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের মাইছা বিল, ধলাপাড়া ইউনিয়নের মেধার বিল, বল্লার বিল, চাপড়া বিল, দেওপাড়া ইউনিয়নের কালিয়ান বিল ও ভাড়াবিল, পদ্মকুড়ি, রানাদহ, গুয়াপচা বিল, রসুলপুর ইউনিয়নের আঠারোচুড়া, চৈথট্র, বাইচাইল, বানিয়াপাড়া, জামালপুর, ফতেপাড়া, রতনপুর, খিলপাড়া করিমপুর, শিমলা, চুহালিয়াবাড়ী, জামুরিয়া ও পুংলিসহ ওইসব এলাকার ধান এখন পানির নিচে। এমন করুণ দৃশ্য দাঁড়িয়ে থেকে দেখা ছাড়া যেন আর কোন যেন উপায় নেই। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের চোখের জল আর জলাবদ্ধতার জল যেন মিশে একাকার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এ উপজেলায় ২০ হাজার ২শ’৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। 
ঘাটাইল রতনপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বাদল, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ লিটন মিয়া ও আলতাফ হোসেন জানান, তাদের প্রায় ৪/৫শ’ মণ ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা আরও বলেন, শ্রমিক সংকটের জন্যই তলিয়ে যাওয়া ধান কাটতে পারছিনা।
করিমপুর গ্রামের আঃ কাদের মাস্টার জানান, ‘জলাবদ্ধতায় আমার প্রায় ২০ বিঘা ধানি জমি তলিয়ে গেছে’।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আঃ মতিন বিশ্বাস জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে কৃষকদের কিছুটা ক্ষতি লাঘব হবে। তবে জরুরী ভিত্তিতে টোক নদীর ভরাট অংশ খনন করে ঝিনাই নদীতে পানি নিস্কাশন প্রয়োজন, তা নাহলে প্রতি বছরই কৃষকরা এমন ক্ষতির মুখে পড়বে।

No comments